Summary of The Canterbury Tales

Summary of The Canterbury Tales




জিওফ্রে চসারের *দ্য ক্যান্টারবেরি টেলস* (The Canterbury Tales) মূলত ১৪শ শতাব্দীতে লেখা একগুচ্ছ কাহিনীর সংকলন। এতে তিনি একদল তীর্থযাত্রীর গল্প বলেছেন, যারা লন্ডনের সাউথওয়ার্ক থেকে ক্যান্টারবেরি অভিমুখে তীর্থযাত্রায় বেরিয়ে পড়েন। তাদের সবার গন্তব্য সেন্ট থমাস বেকেটের মাজার। 


**"জেনারেল প্রোলোগ"** দিয়ে কাহিনীর শুরু হয়। চসার প্রথমে বসন্তের আগমনের বর্ণনা দিয়ে তীর্থযাত্রার পটভূমি তুলে ধরেন। বসন্তের হাওয়া, বৃষ্টির পরিমাণ, ফুল ফোটা এবং নতুন প্রাণের সঞ্চারের মাধ্যমে চসার প্রকৃতির পরিবর্তনকে বর্ণনা করেন, যা মানুষের মনকে আধ্যাত্মিক যাত্রার জন্য প্রস্তুত করে তোলে।


### গল্পের সারাংশ


একদিন, বর্ণনাকারী (যিনি চসার নিজেই) সাউথওয়ার্কের ট্যাবার্ড ইন-এ থাকাকালীন সেখানে একদল ভ্রমণকারীর সাথে তার দেখা হয়। এরা সবাই ক্যান্টারবেরির উদ্দেশ্যে তীর্থযাত্রায় যাচ্ছেন। তারা বিভিন্ন শ্রেণী এবং পেশার মানুষ, এবং প্রত্যেকের স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব রয়েছে।


#### তীর্থযাত্রীদের মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য চরিত্র:


1. **নাইট**: নাইট একজন সাহসী এবং অভিজাত যোদ্ধা, যিনি তার জীবনে অনেক যুদ্ধ করেছেন এবং যোদ্ধার মর্যাদা রক্ষা করেছেন। তিনি বিনয়ী ও বিশ্বস্ত।


2. **সন্ন্যাসিনী (প্রিওরেস)**: প্রিওরেস একজন ধর্মীয় নারী, তবে তার আচার-আচরণ অভিজাত শ্রেণির মতো। তিনি কোমল মনের এবং অত্যন্ত সুন্দর।


3. **সন্ন্যাসী (মঙ্ক)**: মঙ্ক ধর্মীয় শৃঙ্খলায় তেমন আকৃষ্ট নন। শিকারে তার আগ্রহ, এবং তিনি বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন।


4. **বণিক (মার্চেন্ট)**: মার্চেন্ট একজন ধনী ব্যবসায়ী, যিনি নিজের অর্থ-সম্পদ প্রদর্শনে আগ্রহী। তবে তার আর্থিক অবস্থা আদতে তেমন ভালো নয়।


5. **পাদ্রী (প্যারসন)**: প্যারসন একজন সৎ ও উদারমনা পাদ্রী, যিনি মানুষের প্রতি উদার আচরণ করেন এবং তাদের আধ্যাত্মিকভাবে সহায়তা করেন।


6. **মিলার**: মিলার একজন শক্তিশালী ব্যক্তি, যিনি মজার গল্প বলতে পছন্দ করেন। তার চরিত্রে অনেকটাই রুক্ষতা ও হাস্যরস রয়েছে।


7. **ডাক্তার**: ডাক্তার তার চিকিৎসা ও জ্ঞান নিয়ে গর্বিত। তিনি জ্যোতিষশাস্ত্রেও পারদর্শী।


8. **উইফ অফ বাথ**: উইফ অফ বাথ একজন অভিজ্ঞ নারী, যার অনেক বিয়ে হয়েছে। তিনি স্বাধীনচেতা এবং তার ব্যক্তিত্ব অত্যন্ত বলিষ্ঠ।


এই তীর্থযাত্রীরা ক্যান্টারবেরির পথে যাত্রা করার সময় গল্প বলার প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। চসার তাদের প্রত্যেককে গল্প বলতে দেন, যা সেই সময়কার মানুষের চিন্তাভাবনা, সংস্কৃতি এবং জীবনযাত্রার প্রতিফলন ঘটায়।


### গল্পগুলোর বিভিন্ন ধারা


চসারের এই কাহিনীগুলি বেশ কয়েকটি শৈলীতে লেখা। কিছু গল্প হাস্যরসাত্মক, কিছু গল্প নৈতিক, এবং কিছু গল্প তৎকালীন সমাজের বিভিন্ন সমস্যাকে বিদ্রূপ করে। চসারের ভাষা ও কাহিনী বর্ণনার দক্ষতা এ সময়কার ইংরেজি সাহিত্যের এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক তৈরি করেছে।


**শেষ কথা:** *দ্য ক্যান্টারবেরি টেলস* কেবল গল্পের সংগ্রহ নয়, এটি মধ্যযুগীয় ইংল্যান্ডের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনের এক জীবনতুল্য চিত্র। চসার তাঁর প্রতিটি চরিত্রের মাধ্যমে সে সময়কার সমাজের বিভিন্ন স্তরকে তুলে ধরেছেন।

Post a Comment

0 Comments